মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন ও কাজ

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - জীববিজ্ঞান - জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র | NCTB BOOK
19.3k
Summary

মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠন:

  • ভৌত গঠন:
    • আবরণী: দুটি লিপোপ্রোটিন বাইলেয়ারের মেমব্রেন নিয়ে গঠিত।
    • প্রকোষ্ঠ: দুই মেমব্রেনের মাঝখানের ফাঁকা স্থান বহিস্থ কক্ষ বা আন্তঃমেমব্রেন ফাঁক।
    • অভ্যন্তরীণ কক্ষ: জেলির ন্যায় ঘন পদার্থ দ্বারা পূর্ণ, একে ম্যাট্রিক্স বলা হয়।
    • ক্রিস্টি: অভ্যন্তরীণ মেমব্রেন ভাঁজ ছেড়ে আঙ্গুলের মতো প্রবর্ধন সৃষ্টি করে।
    • অক্সিসোম: অতি সূক্ষ্ম অসংখ্য দানা অন্তঃআবরণের অন্তর্গাত্রে থাকে।
    • ATP-Synthases ও ETC: ক্রিস্টিতে ATP উৎপাদনে সহায়ক গোলাকার বস্তু।
    • বৃত্তাকার DNA ও রাইবোসোম: নিজস্ব বৃত্তাকার DNA এবং 70 S রাইবোসোম থাকে।
  • রাসায়নিক গঠন: ৬৫% প্রোটিন, ২৯% গ্লিসারাইড, ৪% লেসিথিন ও সেফালিন, ২% কোলেস্টেরল, ৯০% ফসফোলিপিড।

মাইটোকন্ড্রিয়ার কাজ:

  • শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ।
  • শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম ধারন।
  • নিজস্ব DNA, RNA উৎপন্ন করে বংশগতিতে ভূমিকা।
  • প্রোটিন সংশ্লেষ ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য।
  • ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সম্পন্ন করা।
  • সক্রিয় পরিবহনে সক্ষম (Ca, K)।
  • শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠন।
  • ক্যালসিয়াম আয়নের ঘনত্ব রক্ষা।
  • বিভিন্ন ক্যাটায়ন সঞ্চয়।
  • কোষের পূর্বনির্ধারিত মৃত্যু নিয়ন্ত্রণ।
  • রক্ত কণিকা ও হরমোন উৎপাদনে সহায়তা।

মাইটোকন্ড্রিয়ার গঠনঃ

ভৌত গঠন (Physical Structure) :

১. আবরণী : প্রতিটি মাইটোকন্ড্রিয়ন লিপোপ্রোটিন বাইলেয়ারের দুটি মেমব্রেন নিয়ে গঠিত।

২. প্রকোষ্ঠ : দুই মেমব্রেনের মাঝখানের ফাঁকা স্থানকে বলা হয় বহিস্থ কক্ষ (প্রকোষ্ঠ) বা আন্তঃমেমব্রেন ফাঁক এবং ভেতরের মেমব্রেন দিয়ে আবদ্ধ কেন্দ্রীয় অঞ্চলকে বলা হয় অভ্যন্তরীণ কক্ষ। অভ্যন্তরীণ কক্ষ জেলির ন্যায় ঘন সমসত্ত্ব , পদার্থ বা ধাত্র দ্বারা পূর্ণ থাকে। এই ধাত্র পদার্থকে ম্যাট্রিক্স বলে।

৩. ক্রিস্টি (Cristae) বা প্রবর্ধক : বাইরের মেমব্রেন সোজা কিন্তু ভেতরের মেমব্রেনটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে ভেতরের দিকে ভাঁজ হয়ে আঙ্গুলের মতো প্রবর্ধক সৃষ্টি করে। প্রবর্ধিত অংশকে ক্রিস্টি (cristae) বলে।

৪. অক্সিসোম (Oxisome): মাইটোকন্ড্রিয়ার (Mitochondria) অন্তঃআবরণীর অন্তর্গাত্রে অতি সূক্ষ্ম অসংখ্য দানা লেগে থাকে। এদের অক্সিসোম বলে।

৫. ATP-Synthases ও ETC : ক্রিস্টিতে স্থানে স্থানে ATP-Synthases নামক গোলাকার বস্তু আছে। এতে ATP সংশ্লেষিত হয়।

৬. বৃত্তাকার DNA ও রাইবোসোম : মাইটোকন্ড্রিয়ার (Mitochondria) নিজস্ব বৃত্তাকার DNA এবং রাইবোসোম (70 S) রয়েছে।

রাসায়নিক গঠন (Chemical Composition) : 
মাইটোকন্ড্রিয়ার (Mitochondria) শুষ্ক ওজনের প্রায় ৬৫% প্রোটিন, ২৯% গ্লিসারাইডসমূহ, ৪% লেসিথিন ও সেফালিন এবং ২% কোলেস্টেরল। লিপিডের মধ্যে ৯০% হচ্ছে ফসফোলিপিড, বাকি ১০% ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন E এবং কিছু অজৈব পদার্থ।

মাইটোকন্ড্রিয়ার ঝিল্লি লিপো-প্রোটিন সমৃদ্ধ। মাইটোকন্ড্রিয়াতে প্রায় ১০০ প্রকারের এনজাইম ও কো-এনজাইম রয়েছে। এছাড়া এতে ০.৫% RNA ও সামান্য DNA থাকে। মাইটোকন্ড্রিয়ার অন্তঃঝিল্লিতে কার্ডিওলিপিন নামক বিশেষ ফসফোলিপিড থাকে।

মাইটোকন্ড্রিয়া (Mitochondria) র কাজ :

*কোষের যাবতীয় কাজের জন্য শক্তি উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ করা। 
*শ্বসনের জন্য প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম প্রভৃতি ধারণ করা। 
*নিজস্ব DNA, RNA উৎপন্ন করা এবং বংশগতিতে ভূমিকা রাখা।
*প্রোটিন সংশ্লেষ ও স্নেহ বিপাকে সাহায্য করা।
*শ্বসনের বিভিন্ন পর্যায় যেমন- ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট, অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশন সম্পন্ন করা।
*এরা Ca, K প্রভৃতি পদার্থের সক্রিয় পরিবহনে সক্ষম।
শুক্রাণু ও ডিম্বাণু গঠনে অংশগ্রহণ করা। 
*কোষের বিভিন্ন অংশে ক্যালসিয়াম আয়নের সঠিক ঘনত্ব রক্ষা করা। 
*এতে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটায়ন, যেমন-
Ca 2+,S 2+ ,Fe 2+ ,Mn 2+
 ইত্যাদি সঞ্চিত রাখা।
*কোষের পূর্বনির্ধারিত মৃত্যু (apoptosis) প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা। 
*রক্ত কণিকা ও হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করা।

Content added || updated By

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

মাইটোকন্ড্রিয়া
ক্লোরোপ্লাস্ট
রাইবোসোম
গলগি অ্যাপারেটাস
গলজি বডি
রাইবোসোম
নিউক্লিয়াস
মাইটোকন্ড্রিয়া
মাইটোকন্ড্রিয়া(Mitochondria)
নিউক্লিয়াস(Nucleus)
রাইবোসোম(Ribosome)
লাইসোসোম(Lysosome)
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...